সর্বশেষ আপডেট : ৩৯ মিনিট ৬ সেকেন্ড আগে
মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

রায়হানের বাড়িতে তদন্ত কমিটির প্রধান

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের (৩৪) পরিবারের সাথে দেখা করেছেন পুলিশ সদর দপ্তর গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান এআইজি মো. আইয়ুব।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় তিনি নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়াস্থ বাসায় যান এবং রায়হানের মা ও পরিবারের সাথে কথা বলেন। এসময় সেখানে প্রায় আধাঘন্টা অবস্থান করেন এআইজি।

এসময় তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের এই টিমের হয়ে তিনি সিলেট এসেছেন। আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশে রায়হানের মা-কে শান্তনা দিতে তিনি এখানে এসেছেন। রায়হানের মায়ের সাথে কথা বলেছেন। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে তার সাথে আলাপ হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যা যা করনীয় সবই তারা করবেন। ঢাকা গিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে রায়হানের স্বজন শওকত হোসেন বলেন, প্রধান অভিযুক্ত আকবর সম্পর্কে কোন তথ্য জানলে জানাতে বলেছেন। এছাড়া রায়হানের মাকে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

রায়হান হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভুইয়া এখনও পলাতক রয়েছেন। এদিকে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খোকন কুমার দত্ত।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। সেদিন সকালেই সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পরদিন ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাশকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

এই ঘটনায় ১৯ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতে বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ওই ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল দেলোয়ার, সাইদুর ও শামীম ১৬৪ ধারায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর ঘটনার পর থেকে পলাতক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: